বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষাল এর নামে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা

15th June 2021 11:12 am হুগলী
বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষাল এর নামে পোস্টারে ছয়লাপ এলাকা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষালের নামে পোস্টার পরলো কোন্নগর এলাকায়। পোস্টারে লেখা রয়েছে কোন্নগর বাসীর দাবি মধুচক্রের নায়ক গদ্দার প্রবীর ঘোষালকে তৃনমুল কংগ্রেস দলে নেওয়া যাবে না। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরপাড়া বিধানসভার তৃনমুল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বিজেপিতে যোগদান করেন। সেই সময় প্রবীর ঘোষালের নামে পোস্টারের পাশাপাশি কুশপুতুল দাহ করা হয় তৃনমুলের পক্ষ থেকে। বিধানসভা ভোটে  জিতে সরকার গঠন করে তৃনমুল কংগ্রেস। সূত্রের খবর এর পর থেকে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বারতে থাকে প্রবীর ঘোষালের। কিছু দিন আগে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক বিজেপি পার্টি অফিশে বৈঠক করতে  আসেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সভায় দেখা যায়নি তাকে। কয়েকদিন আগে বেসুরো হতে দেখা গেছে বিজেপি নেতাকে। এরপরই জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে তিনি আরার ফিরে যেতে  পারেন  তৃণমূলে। সম্প্রতি বিজেপি নেতা মুকুল রায় তৃণমূলে যোগদান করেছে।  কোন্নগরের এক তৃনমুল কর্মী বলেব আমরা দেখলাম সারা কোন্নগর জুরে প্রবীরা ঘোষালের বিরুদ্ধে পোস্টার পরেছে। আমরা তৃনমুল কর্মীরা সমর্থন করি। কারন এই ধরনের মানুষ তৃনমুলে না আসে। উনি তৃনমুল দলের অনেক ক্ষতি করেছে। তৃনমুল কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। আবার যাতে তৃনমুল দলে ফিরতে না আসে এই অনুরোধ করবো। আমরা দিদিকে প্রচন্ড ভালবাসি। এবারের বিধানসভা ভোটে প্রমান হয়ে গেছে মানুষ এদেরকে চায় না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।